Powered by RND
PodcastsSociety & CultureEti,Tomader Arnab (Bengali Educational Podcast)

Eti,Tomader Arnab (Bengali Educational Podcast)

ARNAB CHAKRABORTY
Eti,Tomader Arnab (Bengali Educational Podcast)
Latest episode

Available Episodes

5 of 190
  • History of palanquin // পালকি র ইতিহাস
    বহুযুগ আগের কথা। সারা ভারতের অধিকাংশ জায়গাতেই তখন দাপিয়ে বেরাচ্ছে পালকি। তবে শুধু অভিজাতদের জন্যই ছিল এই পালকি। খরচ অপেক্ষাকৃত কম বলে মধ্যবিত্তদের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে পালকি বা ডুলি। অষ্টাদশ শতকের শেষ থেকে আমাদের কলকাতাতেও যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠে এই পালকি-ডুলি। বিয়ের সময়ওবর-কনে এই পালকি ব্যবহার করত। ‘পালকি’ শব্দটি মূলত সংস্কৃত ‘পল্যঙ্ক’ বা ‘পর্যঙ্ক’ থেকে উদ্ভূত। পালি ভাষায় এর নাম ‘পালাঙ্কো’। বড় পালকিগুলি বহন করত চার থেকে আট জন। আবার ডুলি বহন করতে লাগত মাত্র দু’জন। মূলত, দুলে-হাড়ি-বাগদিদের মতো নিম্নবর্গের মানুষরাই এই বহনের কাজ করত। তবে পরে বাঙালি বাহকদের জায়গায় জাঁকিয়ে বসে ওড়িশা ও বিহারের পালকি বাহকরা। মূলত, এদেশীয় লোকেরা পালকি চাপলেও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাবুরাও মাইনে দিয়ে বেহারা রাখত। যেহেতু এই পালকির সঙ্গে সম্মান ও পদমর্যাদার প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে, তাই কোম্পানির ছোটকর্তাদের পালকি-বেহারা রাখতে নিষেধ করা হতো। ইতিহাস বলছে, এই সময় থেকে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার শুরু হলেও পালকির চাহিদা কমেনি, বরং বেড়েছে। পুজোর দিনে বাঙালি সম্ভ্রান্ত ঘরের মেয়ে-বউরা পালকি চেপে গঙ্গাস্নানে যেত। এরপর তাদের লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে পালকিসুদ্ধ জলে চোবানো হতো। জানা যায়, ১৮৫০ সালে একজন উড়িয়া পালকি বাহকের মাইনে ছিল মাসে ৪ টাকা। বিহারি পালকি বাহকের মাইনে ছিল মাসে ৫ টাকা। এই সময় পালকি ভাড়ায় নিলে খরচ হতো ১ টাকা ৪ আনা। সেসময় বেহারাদের মাইনে ছিল মাসে ২৫ টাকা। এক মাসের জন্য পালকি ভাড়া নিলে খরচ পড়ত ৩৭ টাকা। তথ্যসূত্র:বর্তমান পত্রিকা। সূত্রধর: অর্ণব Facebook: https://facebook.com/EtiTomaderArnab Insta: https://instagram.com/eti_tomader_arnab Youtube: https://youtube.com/@etitomaderarnab8304
    --------  
    4:13
  • Bamkim chandrer Hat Dhore Khoma Prathona Britisher // বঙ্কিমচন্দ্রের হাত ধরে ক্ষমা প্রার্থনা ব্রিটিশের
    ১৮৭০ সালের ১৫ ডিসেম্বরের ঘটনা। বঙ্কিমচন্দ্র পালকি করে বহরমপুর স্কোয়ার ফিল্ডের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই মাঠে তখন ক্রিকেট খেলছিলেন ব্রিটিশরা। বঙ্কিমের পালকি আটকালেন কর্নেল ডাফিন নামের এক ইংরেজ। তিনি পালকির দরজায় করাঘাত করতে বঙ্কিম পালকি থেকে নেমে বলেন, “Who the Devil you are?” ডাফিন কোনো উত্তর দিলেন না, বঙ্কিমকে হাত ধরে সরিয়ে দিলেন। এতে চূড়ান্ত অপমানিত হলেন বঙ্কিমচন্দ্র। তাঁকে প্রহার করেছিলেন ডাফিন, এমন মতও পাওয়া যায়। মাঠের অন্যান্য গোরা সাহেবরা কেউ বঙ্কিমচন্দ্রকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। তেজস্বী বঙ্কিম অবশ্য দমে যাওয়ার পাত্র ছিলেন না। পরের দিনই ডাফিনের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা করে বসলেন। বহরমপুরে তাঁর বিপুল প্রভাব তখন। দেড়শো জন আইনজীবী তাঁর পক্ষে ওকালতনামায় সই করেছিলেন। অন্যদিকে কর্নেল সাহেব একজন উকিলও জোগাড় করতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত জেলা জজ বেনব্রিজের দ্বারস্থ হলেন। এই ব্রেনব্রিজও আগের দিন ছিলেন মাঠে, কিন্তু বঙ্কিমের পাশে দাঁড়াননি। যদিও দু’জনের আলাপ ছিল আগে থেকেই। যাই হোক, মামলায় বেনব্রিজ মধ্যস্থতা করতে রাজি হলেন। কিন্তু শর্ত একটাই, কর্নেল ডাফিনকে ক্ষমা চাইতে হবে বঙ্কিমচন্দ্রের কাছে। ডাফিনের আর কোনো উপায়ও ছিল না। আদালত চত্বর তখন লোকে লোকারণ্য। সবার সামনেই বঙ্কিমের হাত ধরে ক্ষমা চাইলেন কর্নেল ডাফিন। বঙ্কিম তখন এই মামলা প্রত্যাহার করে নেন। তথ্যসূত্র:বর্তমান পত্রিকা। সূত্রধর: অর্ণব Facebook: https://facebook.com/EtiTomaderArnab Insta: https://instagram.com/eti_tomader_arnab Youtube: https://youtube.com/@etitomaderarnab8304
    --------  
    3:58
  • Satyajit-e Birokto Jibanananda // সত্যজিতে বিরক্ত কবি জীবনানন্দ
    ‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা...’। জীবনানন্দ দাশ এবং বনলতা সেন যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছেন বাংলার আপামর পাঠকের কাছে। আর এই বনলতা সেনের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছেন বিখ্যাত আলোকচিত্রী শম্ভু সাহা। পাঠককূলের সিংহভাগ সত্যজিৎ রায়ের তৈরি প্রচ্ছদের সঙ্গে পরিচিত থাকলেও শম্ভু সাহার নাম জানেন এমন মানুষ মেলা ভার। জানলে হয়তো অবাক হবেন, বইটির প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ তৈরি করেছিলেন তিনি। আপাতবিস্মৃত এই মানুষটি একসময় শান্তিনিকেতন এবং রবি ঠাকুরের ছবি তুলে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তাঁর সম্পাদিত Faces and Places of Visva Bharati বইটিতে এরকম বহু আলোকচিত্রের হদিশ মেলে। এবার শম্ভু সাহার রূপ দেওয়া বনলতা সেনের প্রথম প্রচ্ছদের কথায় আসা যাক। ১৯৪২ সালে প্রকাশ পায় ‘বনলতা সেন’-এর প্রথম সংস্করণ। বইটির ব্রাউন কভারের প্রচ্ছদে লাল রঙে আঁকা এক মহিলার ছবি। সামান্য ক’টি আঁচড়ে ফুটে উঠেছে পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলার অবয়ব। কিন্তু অদ্ভুতভাবে তাঁর ওই প্রচ্ছদ নিয়ে কোথাও কোনও চর্চা হয়নি। এমনকী জীবনানন্দকেও কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। অন্যদিকে, সিগনেট থেকে প্রকাশিত বনলতা সেনের দ্বিতীয় সংস্করণের প্রচ্ছদের সঙ্গেই আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। সেই প্রচ্ছদ তৈরির ভার পড়েছিল বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের উপর। কিন্তু দক্ষ প্রচ্ছদশিল্পী সত্যজিতের সেই প্রচ্ছদ পছন্দ হয়নি স্বয়ং কবির। সুরজিৎ দাশগুপ্ত এবং বোন সুচরিতা দাশকে লেখা চিঠিতে কবির ক্ষোভ ফুটে উঠেছে। জীবনানন্দ-গবেষক গৌতম মিত্রের লেখা থেকে জীবনানন্দের সেই ক্ষোভের কথা জানা যায়। ১৯৫২ সালে বই প্রকাশের তিনমাসের মধ্যেই তিনি সুরজিৎ দাশগুপ্তকে লেখেন, ‘বনলতা সেনের প্রচ্ছদ দেখে আমি অত্যন্ত হতাশ। এত খারাপ প্রচ্ছদপট আমি জীবনে দেখিনি।’ বোন সুচরিতাকে লিখেছিলেন, ‘কাগজ-ছাপা-বাঁধাই সব ভালো; কিন্তু ছবিটা আমার আদৌ পছন্দ হয়নি।’ তথ্যসূত্র:বর্তমান পত্রিকা। সূত্রধর: অর্ণব Facebook: https://facebook.com/EtiTomaderArnab Insta: https://instagram.com/eti_tomader_arnab Youtube: https://youtube.com/@etitomaderarnab8304
    --------  
    4:18
  • Kolkata Thake Dilhi,Rajdhani Bodoler Etihas //কলকাতা থেকে দিল্লি,রাজধানী বদলের ইতিহাস
    বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের ধাক্কা সামলাতে পারেনি ব্রিটিশ রাজ। সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পর আরও একটি পদক্ষেপ নিয়েছিল তারা। ১৯১১ সালে দেশের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে রাজধানীর মর্যাদা পরোক্ষভাবে আরও দু’দশক বহন করে চলেছিল তিলোত্তমা। কারণ, ১৯৩১ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের রাজধানী হয় নয়াদিল্লি। ব্রিটিশ সম্রাট পঞ্চম জর্জের দিল্লি দরবারে ১৯১১ সালেই অবশ্য এব্যাপারে সিলমোহর পড়েছিল। যুক্তি হিসেবে ভৌগোলিক কারণ, প্রশাসনিক জটিলতা সহ একগুচ্ছ তত্ত্ব হাজির করে ব্রিটিশ সরকার। যদিও সেগুলির বাস্তব ভিত্তি নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠেছে। আসলে পিঠ বাঁচাতে এসব কারণগুলি দেখিয়েছিল তারা। আদপে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বাংলায় যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার ধাক্কায় বেসামাল হয়ে পড়ে ব্রিটিশরাজ। তার উপর মাথাচাড়া দিচ্ছিল চরমপন্থী আন্দোলনও। সব মিলিয়ে রাতের ঘুম উড়ে যায় ‘শাসকদের’। তাই রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করতে চিঠি যায় তত্কালীন সেক্রেটারি অব স্টেট ফর ইন্ডিয়ার কাছে। তাতে নানা অসুবিধার কথা উল্লেখ করেছিলেন তত্কালীন ভাইসরয়। যদিও প্রকৃত কারণ বুঝতে অসুবিধা হয়নি বড়কর্তাদের। কলকাতা থেকে দিল্লিতে রাজধানী সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি মান্যতা পায়। পঞ্চম জর্জের হাত ধরে শুরু হয় স্থানান্তরের প্রক্রিয়া। দিল্লিকে রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে (বলা ভালো, সাজিয়ে তুলতে) চার বছর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ব্রিটিশরা। কিন্তু, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেয়। যুদ্ধে বিপুল খরচ সামলে রাজধানীতে প্রশাসনিক দপ্তর সহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক অফিস তৈরির কাজ ধাক্কা খায়। এর মধ্যে ধাপে ধাপে সিভিল লাইনসে তৈরি হয় সরকারের অস্থায়ী অফিস। আধিকারিকদের বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও। প্রাথমিকভাবে চার বছরের সময়সীমা ধার্য হলেও দিল্লিকে সাজিয়ে তুলতে ২০ বছর লেগে যায়। ১৯৩১ সালে তত্কালীন ভাইসরয় লর্ড আরউইনের হাত ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশের রাজধানী হিসেবে যাত্রা শুরু করে দিল্লি। তথ্যসূত্র:বর্তমান পত্রিকা। সূত্রধর: অর্ণব Facebook: https://facebook.com/EtiTomaderArnab Insta: https://instagram.com/eti_tomader_arnab Youtube: https://youtube.com/@etitomaderarnab8304
    --------  
    4:31
  • Nobin Er Rasgullar Etihas // নবীনের রসগোল্লা র ইতিহাস
    বাগবাজারের অখ্যাত এক মিষ্টির দোকান। তার সামনে এসে দাঁড়াল ঘোড়ায় টানা গাড়ি। গাড়িতে ছিল ধনী মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী ভগবান দাস বাগলার পরিবার। তাঁর ছোট ছেলের তখন গলা ফাটছে পিপাসায়। দোকান দেখে তাই দাঁড়িয়েছে গাড়ি। বাবার হাত ধরে নেমে এসেছে নাবালক। শুধু জল দেওয়া রীতি নয়, তাই জলের পাত্র তুলে দেওয়ার আগে সেই ছেলের হাতে গোলাকার মিষ্টি তুলে দিয়েছিলেন ময়রা। পিপাসা মেটার সঙ্গে অদ্ভুত স্বাদ অভিভূত করেছিল খুদেকে। এমন মিষ্টি সে আগে খায়নি। বাবাকে বলেছিল সে কথা। তা শুনে এক হাঁড়ি মিষ্টি নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন ভগবান দাস। পরিবারের সকলেই এমন সুস্বাদু গোল্লার প্রেমে মাতোয়ারা। এ যেন ম্যাজিক! অভিনব সেই মিষ্টির কথা ব্যবসায়ী পরিবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল গোটা কলকাতায়। এভাবেই খ্যাতির প্যারাসুটে সওয়ার হয়েছিল রসগোল্লা। নবীনচন্দ্রের সৃষ্টিকে তিলোত্তমায় ছড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা ছিল ওই মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীর। গবেষকদের মতে, ১৮৬৮ সালে কলকাতায় বাগবাজারের নবীনচন্দ্র দাসের হাতে সৃষ্টি হয় রসগোল্লা। তাঁর নামে জুড়েছে ‘রসগোল্লার কলম্বাস’ শিরোপা। ১৮৬৪ সালে জোড়াসাঁকোয় একটি মিষ্টির দোকান খোলেন কলকাতার চিনি ব্যবসায়ী নবীনচন্দ্র দাস। দোকানটি বেশি দিন চলেনি। ফের ১৮৬৬ সালে বাগবাজারে আরও একটি মিষ্টির দোকান খোলেন তিনি। দোকানটির প্রধান মিষ্টি ছিল সন্দেশ। শহরের খানদানি বণিকদের আশ মিটছিল না সন্দেশে। নতুন কিছু তৈরির কথা ভাবছিলেন নবীন। দু’বছরের মধ্যে তিনি তৈরি করেন রসগোল্লা। সেই রসগোল্লার মালিকানা নিয়ে আইনি লড়াইয়ে ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর রসগোল্লার জিআই ট্যাগ লাভ করে পশ্চিমবঙ্গ। যা বাংলার পাশাপাশি নবীনেরও জয়। তথ্যসূত্র:বর্তমান পত্রিকা। সূত্রধর: অর্ণব Facebook: https://facebook.com/EtiTomaderArnab Insta: https://instagram.com/eti_tomader_arnab Youtube: https://youtube.com/@etitomaderarnab8304
    --------  
    5:18

More Society & Culture podcasts

About Eti,Tomader Arnab (Bengali Educational Podcast)

আমারই ছেলেবেলা থেকে স্বরচিত কিছু লাইনের আঁকিবুকি থাকবে এই ডালাতে।অন্তরের আত্মিক যোগ গড়ে উঠুক বেতারে।এপারে আমি,বন্ধু তুমি ঐপারে।
Podcast website

Listen to Eti,Tomader Arnab (Bengali Educational Podcast), Shameless and many other podcasts from around the world with the radio.net app

Get the free radio.net app

  • Stations and podcasts to bookmark
  • Stream via Wi-Fi or Bluetooth
  • Supports Carplay & Android Auto
  • Many other app features

Eti,Tomader Arnab (Bengali Educational Podcast): Podcasts in Family

Social
v7.17.1 | © 2007-2025 radio.de GmbH
Generated: 5/11/2025 - 8:36:34 PM